Posts

Showing posts from August, 2025

মানব সম্পদ কখনও বোঝা হবে না

মানব সম্পদ কখনও বোঝা হবে না মোঃ শাহাদৎ হোসেন মানুষ হচ্ছে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্পদ। কোনো সমাজ বা রাষ্ট্রের উন্নতির মূলে থাকে মানুষ—যাকে আমরা মানব সম্পদ বলে থাকি। এই মানব সম্পদকে বোঝা মনে করলে তা হবে আমাদের জ্ঞানের ঘাটতি, দৃষ্টিভঙ্গির সংকীর্ণতা। ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যায়, এক সময় পৃথিবীতে মানুষের সংখ্যা ছিল বর্তমান জনসংখ্যার অর্ধেক। তখন কর্মসংস্থানের সংকট ছিল না, কিন্তু খাদ্যের তীব্র অভাব ছিল। মানুষকে টিকে থাকার জন্য সংগ্রাম করতে হতো, অনেক ক্ষেত্রেই মৌলিক চাহিদা পূরণ করা যেত না। অথচ আজকের দিনে খাদ্যের ঘাটতি অনেকটাই কমে এসেছে। বরং কর্মসংস্থানের অভাব নিয়ে আলোচনা বেশি হয়। বাস্তবে দেখা যায়, উচ্চ শিক্ষিতদের বেকারত্বের হার বেশি হলেও অল্প শিক্ষিত বা দক্ষতাভিত্তিক কর্মীদের বেকারত্ব তুলনামূলক কম। এর মানে হলো—কর্মক্ষেত্র সব সময় নতুনভাবে তৈরি হয়, আর মানুষ তার দক্ষতার ভিত্তিতে সেখানে জায়গা করে নেয়। অনেক বিশেষজ্ঞ দাবি করেন যে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) বিভিন্ন পেশার মানুষকে বেকার করে দেবে। আমি এই মতকে সঠিক মনে করি না। প্রযুক্তি নতুন সুযোগের দ্বার উন্মোচন করে, আবার মানুষের জন্য নতুন কাজের...

মানব জনমের স্বার্থকতা

:মানব জনমের স্বার্থকতা — মোঃ শাহাদৎ হোসেন মানুষের জীবন কেবল ভোগ-বিলাসের জন্য নয়, কিংবা কেবল নিজের বংশবিস্তার করার জন্যও নয়। এই কাজ তো অন্যান্য প্রাণীরাও করে থাকে। তবে মানুষকে আলাদা করেছে তার চিন্তা, প্রজ্ঞা, বিবেক এবং কর্মের মহত্ত্ব। তাই মানব জনমকে সার্থক করতে হলে কেবল দেহের প্রয়োজন মেটালেই যথেষ্ট নয়, প্রয়োজন মানবিক মূল্যবোধ ও দায়িত্বের চর্চা। মানুষ জন্ম নেয় এক মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে। সেই উদ্দেশ্য হলো সমাজ, দেশ, মানবতা এবং বিশ্বকে কিছু দেওয়া। যে মানুষ কেবল নিজের ক্ষুদ্র চাহিদার ঘেরাটোপে আবদ্ধ থাকে, তার জীবন বৃথা হয়ে যায়। কারণ ইতিহাসে স্থান পায় সে-ই, যে নিঃস্বার্থ কর্মের মাধ্যমে অন্যের জীবন আলোকিত করেছে। নিজের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে যে অন্যের কল্যাণে কাজ করেছে, মানব জনমের প্রকৃত স্বার্থকতা তাকেই স্পর্শ করেছে। আমরা যদি পৃথিবীতে আসার পর কোনো চিহ্ন রেখে যেতে না পারি, যদি মানুষের মুখে আমাদের নাম কৃতজ্ঞতার সাথে উচ্চারিত না হয়, তবে আমাদের জন্ম অর্থহীন হয়ে পড়বে। জীবন সীমিত হলেও কর্মের মহিমা সীমাহীন। একজন মানুষের কর্ম তার মৃত্যুর পরও তাকে বাঁচিয়ে রাখে। তাই মানব জনমকে সার্থক করতে হলে আমাদের উচিত— ...

স্মৃতিরা মরে না

স্মৃতিরা মরে না মোঃ শাহাদৎ হোসেন পৃথিবী হলো মানুষের আসা–যাওয়ার অস্থায়ী মঞ্চ। কেউ জন্মায়, কেউ চলে যায়। সময়ের স্রোতে মানুষ হারিয়ে গেলেও তাদের রেখে যাওয়া স্মৃতি কখনও মুছে যায় না। স্মৃতিই একমাত্র অবলম্বন, যা মানুষকে অতীতের সাথে বর্তমানের সেতুবন্ধন রচনা করে দেয়। জীবনের প্রতিটি ক্ষণ আমরা যেভাবে কাটাই, তা ভবিষ্যতে আমাদের চারপাশের মানুষদের জন্য স্মৃতি হয়ে থেকে যায়। কারও হাসি, কারও পরিশ্রম, কারও ভালোবাসা কিংবা কারও সৎ কর্ম – সবকিছুই একদিন গল্প হয়ে বেঁচে থাকে। তাই প্রতিটি দিন আমাদের সততার সাথে কাটানো জরুরি, কারণ আমরা চাই বা না চাই, আমাদের কাজই হয়ে ওঠে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য শিক্ষণীয় উপাখ্যান। অনেকেই বলেন, মৃত্যু মানেই সবকিছুর শেষ। কিন্তু বাস্তবে মৃত্যু কেবল দেহের অবসান ঘটায়, আত্মার নয়। আর স্মৃতি হলো আত্মার বহিঃপ্রকাশ। এক মায়ের আদরের ডাক, এক শিক্ষকের জ্ঞানদানের মুহূর্ত, এক বন্ধুর আত্মত্যাগ—এসব কখনো সময়ের ভাঁজে হারিয়ে যায় না। বরং এগুলো মানুষকে অনুপ্রাণিত করে সৎ পথে চলতে। মানুষের সাথে মানুষের এমন কিছু কথোপকথন বা আচরণ থাকে যা খুব ছোট বা বিনা পরিশ্রমে করা হলেও, সেটি কারও জন্য হয়ে ওঠে জীবনব্যাপী ...