মানব জনমের স্বার্থকতা
:মানব জনমের স্বার্থকতা
— মোঃ শাহাদৎ হোসেন
মানুষের জীবন কেবল ভোগ-বিলাসের জন্য নয়, কিংবা কেবল নিজের বংশবিস্তার করার জন্যও নয়। এই কাজ তো অন্যান্য প্রাণীরাও করে থাকে। তবে মানুষকে আলাদা করেছে তার চিন্তা, প্রজ্ঞা, বিবেক এবং কর্মের মহত্ত্ব। তাই মানব জনমকে সার্থক করতে হলে কেবল দেহের প্রয়োজন মেটালেই যথেষ্ট নয়, প্রয়োজন মানবিক মূল্যবোধ ও দায়িত্বের চর্চা।
মানুষ জন্ম নেয় এক মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে। সেই উদ্দেশ্য হলো সমাজ, দেশ, মানবতা এবং বিশ্বকে কিছু দেওয়া। যে মানুষ কেবল নিজের ক্ষুদ্র চাহিদার ঘেরাটোপে আবদ্ধ থাকে, তার জীবন বৃথা হয়ে যায়। কারণ ইতিহাসে স্থান পায় সে-ই, যে নিঃস্বার্থ কর্মের মাধ্যমে অন্যের জীবন আলোকিত করেছে। নিজের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে যে অন্যের কল্যাণে কাজ করেছে, মানব জনমের প্রকৃত স্বার্থকতা তাকেই স্পর্শ করেছে।
আমরা যদি পৃথিবীতে আসার পর কোনো চিহ্ন রেখে যেতে না পারি, যদি মানুষের মুখে আমাদের নাম কৃতজ্ঞতার সাথে উচ্চারিত না হয়, তবে আমাদের জন্ম অর্থহীন হয়ে পড়বে। জীবন সীমিত হলেও কর্মের মহিমা সীমাহীন। একজন মানুষের কর্ম তার মৃত্যুর পরও তাকে বাঁচিয়ে রাখে।
তাই মানব জনমকে সার্থক করতে হলে আমাদের উচিত—
অন্যের কল্যাণে কাজ করা,
মানবিক গুণাবলির চর্চা করা,
জ্ঞান ও প্রজ্ঞার আলো ছড়িয়ে দেওয়া,
দুঃখী-অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো।
মানুষ কেবল নিজের জন্য নয়, মানবতার বৃহত্তর কল্যাণের জন্য জন্মগ্রহণ করেছে। যে জীবন অন্যের মুখে হাসি ফোটায়, অন্যকে শক্তি জোগায়, অন্যকে অনুপ্রাণিত করে— সেই জীবনই সত্যিকারের স্বার্থক মানব জনম।
Comments
Post a Comment