পথের শেষে বিনোদন নয়, পথেই বিনোদন
পথের শেষে বিনোদন নয়, পথেই বিনোদন
আমরা অনেকেই ভাবি, কঠিন পথ পেরিয়ে শেষ গন্তব্যে পৌঁছালেই মিলবে শান্তি, সুখ আর বিনোদন। কিন্তু যদি সেই পথটাই হয় ক্লান্তিকর, কষ্টের, বিষাদময়—তবে কি শেষের সেই বিনোদন সত্যিই উপভোগ্য হবে?
আমার অভিজ্ঞতায় আমি বুঝেছি, পথটা যদি সুন্দর না হয়, যদি চলার সময় মন না হাসে, তবে শেষে পৌঁছেও মনের ক্লান্তি কাটে না। ঠিক যেমন একটা দীর্ঘ ভ্রমণে যদি শুধু গন্তব্যের কথা ভেবে হাঁটতে থাকি, তাহলে পথের সৌন্দর্য, পাখির ডাক, মানুষের হাসি—সবই মিস করে ফেলি।
জীবন একটানা কাজ, সংগ্রাম আর স্বপ্নপূরণের নাম। আমরা প্রায়ই ভাবি, “এই কাজটা শেষ হোক, তারপর আরাম করব। বিনোদন করব।” কিন্তু কাজ শেষ হবে তো? একটার পর একটা কাজ, দায়িত্ব, স্বপ্নের পেছনে ছুটে চলা তো চলতেই থাকবে। তাই আমি বলি, কাজের মাঝেই খুঁজে নিতে হবে আনন্দ। একটু থেমে সহকর্মীর সাথে হেসে নেওয়া, নিজের ছোট সাফল্য উদযাপন করা, কাজের মাঝে একটা পছন্দের গান শোনা—এভাবেই তো পথটাই আনন্দময় হয়।
শুধু গন্তব্য নয়, চলার প্রতিটা ধাপেই যদি আনন্দ থাকে, তবে জীবন অনেক সহজ হয়ে যায়। বিনোদন তখন আর আলাদা করে সময় নেওয়া কিছু নয়—তা হয় চলার অংশ, শ্বাস নেওয়ার মতোই সহজ, স্বাভাবিক।
তাই আমি বলি, পথের শেষে বিনোদন নয়—পথেই বিনোদন। জীবনটাকে এভাবেই দেখা শিখেছি, এবং এখন হাঁটছি হেসে, ক্লান্তি নয়, ভালোলাগা নিয়ে।
Comments
Post a Comment